সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর চৌয়ারা থেকে কুমিল্লা শহরগামী একটি মাইক্রোবাসের সাথে বিপরীতমুখী একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস আরোহী সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী আক্তার নিহত হন। আহত হন সাত জন। এছাড়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর একই স্থানে রং সাইডে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ইউটার্নের দুই পাশে উত্তর ও দক্ষিণে দুইটি লিংক রোড রয়েছে। লিংক রোডের পরিবহনগুলোও ইউটার্ন ব্যবহার করে। এছাড়া দেশের প্রধান এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতি মিনিটে শত গাড়ি চলাচল করে। সেই গাড়িগুলোর গ্যাপে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর রুটের পরিবহনগুলো বাম লেন থেকে ডান লেনে প্রবেশ করে। এখানে কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থাও নেই যে এক পাশের গাড়ি যাওয়া শেষ হলে অন্যগুলো ছাড়বে। কে কার আগে যাবে তা নিয়ে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এদিকে মহাসড়কের অধিকাংশ গাড়ি ইউটার্নে এসেও গতি কমায় না। ইউটার্নের একটু পশ্চিমে রেলওয়ে ওভারপাস। সেটিকে ফেনীর মতো বড় করলে এখানের দুর্ঘটনার ঝুঁকি দূর হয়। অপরদিকে মহাসড়কের আইল্যান্ডের কারণে পদুয়ার বাজারের দুই পাশের ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে। লোকজন সহজে একপাশ থেকে অন্য পাশে যেতে পারে না। একটিমাত্র ফুট ওভার ব্রিজ থাকলেও তা যথাযথ নয়। বিভিন্ন ত্রুটির কারণে অনেকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে চান না।
পদুয়ার বাজারের ব্যবসায়ী শাহ ফয়সাল কারীম বলেন, পদুয়ার বাজারে ফ্লাইওভার না হওয়ায় দুর্ঘটনা আর যানজট বাড়ছে। সাথে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি জানিয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু বলেন, ইউটার্নটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এখানে দ্রুত ফ্লাইওভার করা প্রয়োজন। তাতে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পদুয়ার বাজার ইউটার্নে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা রোধে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, আমরা ইউটার্নের পাশে ইউলুপ করে দিবো। এছাড়া সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড দেয়া হবে।